মেট্রোরেলের যুগে বাংলাদেশ- প্রতিদিনের সকাল এডভারটাইজ
ঢাকাWednesday , 29 January 2025
  • Canvas Properties Ads- Pratidiner Sokal
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কেওয়াটখালী সেতুর সংযোগ সড়কের নকশা পরিবর্তনের নেপথ্যে দুটি হাউজিং কোম্পানীকে সুবিধা প্রদান

Link Copied!

  • ভুমি অধিগ্রহণে শতকোটি টাকা লুটপাটের আয়োজন
  •  পতিত ফ্যাসিষ্ট সরকারের অনুসারীরা মূলত নকশাঁ পরিবর্তনের মূল কারিগর
  •  প্রকল্প ব্যয় বেড়ে দাঁড়াবে অতিরিক্ত প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা
  •  সড়কও জনপথ অধিদপ্তরের দূর্নীতিবাজ কিছু অসাধু কর্মকর্তা কলকাঠি নাড়ছে
  •  তদন্ত কমিটিকে প্রভাবিত করতে সক্রিয় প্রভাবশালী গ্রুপ

একনেকে যখন এই সেতু প্রকল্প পাশ হয়েছিল এবং ২০২১ সালে যখন কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিলো বিশ্ববাজারে তখন ডলারের মূল্য ছিল ৮০ টাকা যা বর্তমানে ১২০ টাকার অধিক। নকশা পরিবর্তন না করেও বর্তমান অনুমোদিত প্রকল্পের নকশায় কাজ করলে অতিরিক্ত যে ৩৫-৪০% টাকা খরচ করতে হবে এর দায়ভার কে নিবে? সড়ক ও সেতু মন্ত্রনালয় এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কোনোভাবেই এর দায় এড়াতে পারে না।

জনস্বার্থে এলাকাবাসীর পক্ষে জনৈক মোশাররফ হোসেনের আবেদনের প্রেক্ষিতে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের ডিএফডিপি শাখা স্মারক নং ৩৫.০০.০০০০.০২৯.২৭.০৩৭.২৪.০৯ অফিস আদেশে ময়মনসিংহ জেলার কেওয়াটখালী সেতু নির্মাণ প্রকল্প সংযোগ সড়কের নকশা প্রণয়ন ও ভুমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে অনিয়মের বিষয়টি তদন্তরে জন্য ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটিতে মন্ত্রণালয়ের সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্ম সচিব গোপাল চন্দ্র দাস আহবায়ক, একই মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ নুরুজ্জামান ও সহকারী সচিব খন্দকার মোঃ আবু জাফর এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃক মনোনীত একজন প্রতিনিধি সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করা হয়।

বিগত ২২/০১/২০২৫ ইং তারিখে মন্ত্রণালয়ের উপসচিব জাহিদুল ইসলাম এই আদেশে স্বাক্ষর করেন। কমিটিকে ২২/০১/২০২৫ইং তারিখ হইতে পরবর্তী ৫ কর্ম দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য বলা হয়েছে।

ইতোমধ্যে কমিটির সদস্যরা প্রকল্প এলাকা ও ময়মনসিংহ সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন। কমিটির আহ্বায়ক যুগ্ম সচিব গোপাল চন্দ্র দাস ও সদস্য উপ-সচিব মোহাম্মদ নুরুজ্জামান ‘দ্যা ফিন্যান্স টুডেকে বলেন, ‘কমিটি তাদের কাজ শেষ করেছে। দুই একদিনের মধ্যেই প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।

বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, কমিটির রিপোর্টকে প্রভাবিত করতে একটি মহল তৎপর রয়েছে যাদের কারনে দীর্ঘদিন প্রকল্পের কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর জুড়ে বিগত ফ্যাসিষ্ট সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবাদুল কাদেরের অনুসারী ও সুবিধাভোগী কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ঠিকাদারগণ এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছে। হাজার হাজার কোটি টাকার কাজ এখনও এদের দখলে। সর্ষের মধ্যে ভুত রেখে ভুত তাড়ানো কখনোই সম্ভব নয়।

তথ্য সূত্রে জানা গেছে যে দুটি হাউজিং প্রকল্পকে সুবিধা প্রদান করতেই প্রকল্পের নকশার পরিবর্তণ করা হয়েছে সেটা হচ্ছে ময়মনসিংহ হাউজিং ও ব্রক্ষপুত্র হাউজিং। এই দুটি প্রকল্পের চেয়ারম্যান হলেন ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আমিনুল হক শামীম। অন্য দিকে সরকারী খাস জমির পরিবর্তে ব্যক্তি মালিকানাধীণ জমির উপর দিয়ে রাস্তা তৈরির অপচেষ্টা করা হচ্ছে।

মূলত: অধিগ্রহন খাতে মাত্রাতিরিক্ত অতিরিক্ত ব্যয়ের অপকৌশলের অংশ হিসেবে সেতু প্রকল্পের সংযোগ সড়কগুলো ঘুড়িয়ে পেঁচিয়ে ঘণ জনবসতিপূর্ণ এলাকা দিয়ে নির্মাণের ক্রটিপূর্ণ নকশা করার অভিযোগ উঠেছে।কেওয়াটখালি সেতুটি অষ্ট্রেলিয়ার সিডনী হারবার ব্রীজের মত ষ্টীল সেতু বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরকে। সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ১ হাজার ৩৫৩ কোটি ৮২ লাখ ও বাকী অর্থ এশিয়ান অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংকের (এআইবিবি) দেওয়ার কথা ছিলো। বর্তমান সরকার জনস্বার্থে দ্রুত এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ণ করবে বলে এলাকাবাসী আশায় বুক বেঁধে আছে।

গ্রামীনফোন বাংলাদেশে এই প্রথম লিমিটলেস ইন্টারনেট