মেট্রোরেলের যুগে বাংলাদেশ- প্রতিদিনের সকাল এডভারটাইজ
ঢাকাSunday , 19 January 2025
  • Canvas Properties Ads- Pratidiner Sokal
আজকের সর্বশেষ সবখবর

পিলখানা হত্যাকাণ্ড: বিস্ফোরক মামলায় আড়াই শতাধিক আসামির জামিন

অনলাইন ডেস্ক
January 19, 2025 11:03 am
Link Copied!

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিস্ফোরক আইনের মামলায় আড়াই শতাধিক আসামি জামিন পেয়েছেন।

কেরাণীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে রোববার শুনানি শেষে এ আদেশ দেন ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক ইব্রাহিম মিয়া।

আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আমিনুল ইসলাম, মোহাম্মদ পারভেজ হাসান ও ফারুক আহাম্মদ। রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি বোরহান উদ্দিন জামিনের বিরোধিতা করেন।

বোরহান উদ্দিন বলেন, কতজন জামিন পেয়েছেন তা এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি আমরা। রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষ কেউই জানে না। তবে আড়াই শতাধিক জামিন পেয়েছেন। এর মধ্যে হত্যা মামলায় যারা খালাস পেয়েছিলেন এবং ওই মামলায় পরবর্তীতে হাই কোর্টে ১৫ জনের সাজা বাড়ানো হয়েছিল; তারা ছাড়া যারা খালাস পেয়েছিলেন, তারা জামিন পেয়েছেন।

এদিকে আসামিদের স্বজনরা সকাল থেকেই কারাগারের মূল ফটকের সামনে অবস্থান করছেন। প্রিয়জনদের জামিনের জন্য তাদের প্রার্থনা করতে দেখা গেছে।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদরদপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোড়ন তোলে ওই ঘটনা।

সেই বিদ্রোহের পর সীমান্ত রক্ষা বাহিনী বিডিআরের নাম বদলে যায়, পরিবর্তন আসে পোশাকেও। এ বাহিনীর নাম এখন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বা বিজিবি।

বিদ্রোহের বিচার বিজিবির আদালতে হলেও হত্যাকাণ্ডের মামলা বিচারের জন্য আসে প্রচলিত আদালতে। এই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। হত্যা মামলায় খালাস বা সাজাভোগ শেষে বিস্ফোরক মামলার কারণে মুক্তি আটকে যায় ৪৬৮ বিডিআর সদস্যের।

বিস্ফোরক আইনের মামলায় ৮৩৪ জন আসামির বিরুদ্ধে বিচারকাজ শুরু হয়েছিল ২০১০ সালে। কিন্তু মাঝপথে বিস্ফোরক মামলার কার্যক্রম এক প্রকার স্থগিত রেখে কেবল হত্যা মামলার সাক্ষ্য উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ। এ কারণে এই মামলার বিচার ঝুলে যায়।

অন্যদিকে হত্যা মামলায় ৮৫০ জনের বিচার শেষ হয় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর। তাতে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। খালাস পান ২৭৮ জন।

২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর সেই মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায়ও হয়ে যায় হাই কোর্টে। তাতে ১৩৯ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয় ১৮৫ জনকে। আরও ২২৮ জনকে দেওয়া হয় বিভিন্ন মেয়াদে সাজা। খালাস পান ২৮৩ জন।

গ্রামীনফোন বাংলাদেশে এই প্রথম লিমিটলেস ইন্টারনেট