পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, আইনে নিষিদ্ধ বলেই শুধু নয়, সন্তানদের সুস্থ ভবিষ্যতের জন্যই পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। পলিথিন শপিং ব্যাগের ব্যবহার বন্ধে এবার কঠোর হবে সরকার। সরকার ব্যর্থ হলে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অকল্পনীয় ক্ষতি বয়ে আনবে।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) সকালে থিয়েটার ইনস্টিটিউট, চট্টগ্রামে পলিথিন বিরোধী ও পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়ে স্টেকহোল্ডারদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ক্যান্সারসহ অন্যান্য রোগ এবং পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতির জন্য দায়ী, সেই পলিথিন ও সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক আমাদের বর্জন করতে হবে।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, পলিথিনের বিকল্প আমাদের সবার কাছেই আছে। ঢাকা শহরের সুপার শপিং মলগুলো হতে ৯০ শতাংশ পলিথিন দূর করা গেছে। সেখানে কাপড়, কাগজ ও পাটের ব্যাগ ব্যবহার করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, পলিথিন বন্ধে যুবকদের সংশ্লিষ্ট করা হচ্ছে। মার্কেট মনিটরিংয়ের জন্য কমিটি করা হয়েছে। সারাদেশ থেকেই পর্যায়ক্রমে পলিথিন দূর করা হবে। পাহাড় কাটা, শব্দদূষণ রোধেও সকলের সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।
উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, পলিথিনের ক্ষতিকর প্রভাব আমাদের পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য ও স্বাস্থ্যকে হুমকির মুখে ফেলেছে। নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করতে সরকার, ব্যবসায়ী, ভোক্তা ও স্থানীয় জনগণের সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। আমরা যদি এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নিই, তবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম একটি বিপর্যস্ত পরিবেশে বাস করবে।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন; চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি আহসান হাবিব পলাশ; চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. হুমায়ুন কবির, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী শেখ মো. তৌহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (দূষণ নিয়ন্ত্রণ) সিদ্ধার্থ শংকর কুন্ডু। মূল প্রবন্ধে তিনি পলিথিনের ক্ষতিকর দিক ও পরিবেশগত বিপর্যয়ের বিষয়সমূহ উল্লেখ করেন।
সভা শেষে পরিবেশ উপদেষ্টা চট্টগ্রামের কাজির দেউড়ি কাঁচাবাজার পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি দোকানদার ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন এবং নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার রোধে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।